প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। খুব শিগগিরই পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হিসাব তলব করা হবে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের প্রধান গণমাধ্যকে জানান, তথ্য চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান জবাব দেয়নি। তবে ই-ভ্যালি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব তথ্য পাওয়া যাবে। ব্যাংকের হিসাবের তথ্য চাওয়ার মূল কারণ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকা ব্যাংকে থাকলে ওই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হবে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য দেওয়া হয়নি এমন প্রায় ৫৬১ কোটি টাকা আটকে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়েতে। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়ে ওই টাকার কিছু অংশ গ্রাহকদের ফেরত দেয়।
কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের ২৮ নভেম্বরের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৩টি প্রতিষ্ঠানের ৩৪ হাজার ৬৩৭ জন গ্রাহক ৩০২ কোটি ২১ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। কিউকম, আলিশা মার্ট, দালাল প্লাস, বুমবুম, আনন্দবাজার, থলেডটকম. ধামাকাসহ মোট ১৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক এই অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে। এরপর নতুন করে প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকে জমানো টাকার সন্ধান পেলে সেটিও গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।