করোনার ভ্যাকসিন প্রথম কোন দেশ তৈরি করবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ‘কার্যকর ও নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
দেশটির উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিডনেভভ্যাকসিনটি জানান, গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং প্রধান সামরিক ক্লিনিক্যাল বারডেনকো হাসপাতাল যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, এটিই হবে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। আপাতত এ ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা।
একটি সামরিক হাসপাতালে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেয়া ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ২৮ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিন পরে ওই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ সব লক্ষণই স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই ছিল।
তাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর কোনো প্রভাব বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়নি। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
আগস্ট মাসে করোনার ভ্যাকসিন ব্যাপক হারে উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া।