শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছেন।
আদেশে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারদরের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন। তাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা ১ শতাংশ রাখাতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম। তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ১৬৯ কোম্পানির শেয়ার দীর্ঘদিন লেনদেন হচ্ছিলো না। ফলে কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে শেয়ারদর কমার নিম্নসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টানা ৯ কার্যদিবস পতনে গত ২৮ জুলাই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের ঘরে নেমে আসে। এমন অবস্থায় অব্যাহত পতন ঠেকাতে শেয়ারবাজারে পুনরায় ফ্লোর প্রাইস জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সব সিকিউরিটিজের পাঁচ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় মূল্যকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
শেয়ারে সর্বনিম্ন দর নির্ধারণের পর কিছুদিন শেয়ারবাজারে স্বস্তি ছিল। ফ্লোর প্রাইস জারির পরের কার্যদিবসেই (৩১ জুলাই) সূচকের বড় উল্লম্ফন হয়। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬২টির শেয়ারদরই বৃদ্ধি পায়। সূচকে যোগ হয় ১৫৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। আর ফ্লোর প্রাইস জারির প্রথম সপ্তাহেই বাজার মূলধন বৃদ্ধি পায় ২১ হাজার কোটি টাকা।
তবে ধীরে ধীরে ফ্লোর প্রাইসের কারণে অস্বস্তি বাড়তে থাকে শেয়ারবাজারে। ফ্লোরের কারণে দর অপরিবর্তিত থাকে বেশিরভাগ কোম্পানির। বুধবারও (২১ ডিসেম্বর) লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৩ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল ডিএসইতে।