শেয়ার বাজারে সব সময় ওঠাপড়া লেগেই থাকে। তবু একেই বিনিয়োগের একটি সেরা মাধ্যম বলে মনে করা হয়। কারণ এখানে বিনিয়োগকারীরা সব থেকে বেশি রিটার্ন পেয়ে থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম হলেও তা কখনই ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের মতো নিরাপদ নয়। পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে মোটা টাকা রিটার্ন মিলতে পারে। ফলে ঝুঁকির মোকাবিলা করা দরকার, আর এটিই বিনিয়োগকারীদের প্রধান কাজ। একজন বিনিয়োগকারী কিভাবে ঝুঁকি মোকাবিলা করবেন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
১. বৈচিত্র্য -
বিনিয়োগকারী যদি নিজের বিরাট অঙ্কের টাকা একটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন এবং সেই ক্ষেত্রটি কখনও কঠিন সময়ের সম্মুখীন হয়, তা হলে বিশাল ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। অতএব, একাধিক স্টকে বিনিয়োগ করাই ভাল। যাতে একটি অংশে ক্ষতি হলেও অন্যটি যেন তার ধাক্কায় পড়ে না যায়।
২. বিনিয়োগের আগে গবেষণা -
যে কোনও শেয়ারে বিনিয়োগের আগে ওই কোম্পানি সম্পর্কে ভাল ভাবে গবেষণা করে নেওয়া দরকার। এটিও ঝুঁকি মোকাবিলা করার একটি ভাল উপায়।
৩. বিনিয়োগে আবেগ নয় -
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি নিউজ চ্যানেল, ব্লগ, অনলাইন পোর্টালে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য থাকে। প্রায় সকলেই 'বিশেষজ্ঞ' এবং তাদের দাবি, তারা বিশাল টাকা অর্জনে সহায়তা করবে। কিন্তু সঠিক গবেষণা ছাড়া বিনিয়োগ করলে ফল খারাপ হতে বাধ্য।
৪. বিনিয়োগে নজরদারি -
শেয়ার বাজার অস্থির। তাই, স্টকগুলির একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখা প্রয়োজন। কারণ এমন সময় আসতে পারে যখন নির্দিষ্ট স্টক বিক্রি করতে হবে এবং কিছু নতুন ক্রয় করতে হবে। এই ক্ষেত্রে যদি নিয়মিত নিজেদের বিনিয়োগের উপর নজর রাখা যায় তা হলেই সেই সুযোগগুলি সনাক্ত করা যাবে।
৫. প্রতিরক্ষামূলক স্টকে বিনিয়োগ -
প্রতিরক্ষামূলক স্টক হল প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পরিষেবাগুলি বিক্রয়কারী সংস্থার অন্তর্গত। এই ধরনের সংস্থায় বিনিয়োগ করলে অর্থনীতির অবস্থা যেমনই হোক না কেন, বেশির ভাগ মানুষ পণ্য বা পরিষেবাগুলিতে ব্যয় করতে বাধ্য। তাই এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম তুলনামূলক ভাবে স্থিতিশীল থাকে। ফলে এখানে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর সামগ্রিক ঝুঁকি কমতে পারে।
৬. লাভজনক স্টক -
বিনিয়োগকারীরা যদি নিজেদের ইক্যুইটি বিনিয়োগ থেকে লভ্যাংশের আকারে নিয়মিত আয়ের দিকে না তাকান, তবে যে কোম্পানিগুলি ধারাবাহিক এবং উচ্চ লভ্যাংশ অফার করে তাদের শক্তিশালী কোম্পানি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
৭. ঝুঁকি সহনশীলতা অনুযায়ী বিনিয়োগ -
শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে তাই বিনিয়োগের সময় মনে রাখতে হবে, নিজেদের ঝুঁকি সহনশীলতা কতখানি অর্থাৎ কোনও সমস্যা হলে জীবনে কেমন প্রভাব পড়বে। সেই অনুসারে বিনিয়োগ করা উচিত।
অর্থসংবাদ/কেএ