দেবতা খুমে আসার ঠিক আগেই ছোট্ট একটা খুম আছে যেটার স্থানীয় নাম "পং সু আং খুম"। এই খুমে সাতার কেটে বা খুমের সাথের নব্বই ডিগ্রী এংগেলের দেয়ালের সাথে লেগে থাকা গাছের শিকড় ধরে টারজানের মত ঝুলে ঝুলে আসতে হয় দেবতাখুমে।
দেবতা খুমের ট্রেইল যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ংকর। বর্ষায় গেলে বলে ট্রেইলের ঝিরি/পাহাড়ের রূপে যেমন চোখ আটকে যাবে যে কারও। আবার পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রতিটি পদক্ষেপে।
প্রকৃতির অনবদ্য রূপ দর্শন যাদের টানে, তাদের জন্য দেবতা খুম যেন এক স্বর্গরাজ্য। দেবতা খুমে পৌছানোর পর বাঁশের ভেলায় ভাসতে ভাসতে কেটে যাবে বিকেল কিংবা সন্ধ্যে বেলা।
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে বান্দরবান। সেখান থেকে বাস/চাঁদের গাড়ি/সিএনজি/ মটর সাইকেলে করে রোয়াংছড়ি (৪০-৫০ মিনিটের পথ)। সেখান থেকে সি এন জি/ মটর সাইকেলে কচ্ছপতলী বাজার (৩০ মিনিটের পথ)। তারপর পায়ে ঘন্টা দেড়েক হাটলেই দেবতাখুম।
কেমন খরচ হবে
ঢাকা থেকে বান্দরবান এর বাস ভাড়া -৬২০ টাকা জনপ্রতি (নন এসি বাস);
বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি বাস ভাড়া-৬০ টাকা জনপ্রতি।
রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী সিএনজি ভাড়া কত ঠিক মনে নেই। তবে একটা সিএনজির ভাড়া আনুমানিক ১৫০-২০০ এর মধ্যেই হয়ে যাওয়ার কথা।
৪ টা ভেলার জন্য মোট ১২০০ টাকা নিয়েছিলো আমাদের কাছ থেকে।
আর গাইডের খরচ মোট-৫০০ টাকা।
মনে রাখবেন
১। কচ্ছপতলীতে গিয়ে গাইডসহ আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হবে।
২। দেবতাখুমে ভ্রমণের জন্য ভেলার ব্যাপারে গাইডকে আগেই বলে রাখা উত্তম।
৩। দেবতাখুম যাওয়ার পথে শীলবান্ধা ঝর্না নামে একটা ঝর্না পাবেন। যাওয়ার পথে ঝর্নাটা দেখে যেতে ভুলবেন না।
৪। বর্ষাকালেই খুমের আসল সৌন্দর্য দেখা যায়। তবে শীলবান্ধা ঝর্নার পরের ট্র্যাকিংটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে কারন ঝিরিপথ খুবই পিচ্ছিল থাকে। তাই এই ব্যাপারে আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা ভালো।
দেবতা খুম যেমন অপরূপ। তেমনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা জায়গা। ঘুরে আসতে পারেন অনিন্দ্য সুন্দর দেবতা খুম।