জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত আরও তিনটি নতুন ধানের জাত। নতুন তিনটি জাতের মধ্যে ব্রি ধান-১০৩ আমন মৌসুম, ব্রি ধান-১০৪ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ বোরো মৌসুমের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।
ব্রির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮তম সভায় সোমবার এ জাতগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থার প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৩ আমন মৌসুমের একটি জাত। এ জাতটির পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার। এর ডিগ পাতা খাড়া, দানা লম্বা ও চিকন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩ দশমিক ৭ গ্রাম। ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪ শতাংশ। এ জাতটির গড় জীবৎকাল ১৩২ দিন। এ জাতটির গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ দশমিক ২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জাতটি প্রতি হেক্টরে ৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারবে।
একই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্রি ধান-১০৪-এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পাতার রং সবুজ। পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ৯২ সেন্টিমিটার। জাতটির গড় জীবৎকাল ১৪৭ দিন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ২১ দশমিক ৫ গ্রাম। এ জাতের ধান বাসমতী টাইপের তীব্র সুগন্ধিযুক্ত। এ ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯ দশমিক ২ ভাগ। এ ছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৮ দশমিক ৯ ভাগ এবং ভাতও ঝরঝরে হয়ে থাকে। এ জাতের জীবৎকাল ব্রি ধান-৫০-এর প্রায় সমান। এ ধানের গুণগত মান ভালো অর্থাৎ চালের আকার-আকৃতি অতিরিক্ত লম্বা চিকন ও রং সাদা হয়ে থাকে।
প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় ১০টি অঞ্চলে ব্রি ধান-৫০-এর চেয়ে ব্রি ধান-১০৪-এর ফলন প্রায় ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শীর্ষ ছয় স্থানে এটি ব্রি ধান-৫০-এর চেয়ে ১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি ফলন দিয়েছে।