ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, এই পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। আপাতত এই রুটে মাঝপথে কোথাও ট্রেন থামবে না।
উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট বা কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা। প্রথম দিকে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে— স্থায়ী ও এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড।
শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড কিনতে হবে। অবশ্য পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরে কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে।
১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করা যাবে।
স্থায়ী কার্ড পেতে নিবন্ধন করতে হবে। বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের লিংক পাওয়া যাবে। এদিন থেকে নিবন্ধন করা যাবে।
নিবন্ধনের জন্য লাগবে নিজের নাম, মাতা–পিতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি।
এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ডের জন্য নিবন্ধন লাগবে না। স্টেশন থেকে এই কার্ড কিনেই আসা-যাওয়া করা যাবে। তবে ট্রেন থেকে নামার সময় কার্ড রেখে দেওয়া হবে।
স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে বিক্রয়কর্মীর সহায়তায় কার্ড কেনা যাবে। এ ছাড়া ভেন্ডিং মেশিন থেকে যাত্রীরা নিজেরাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
সরকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে ২০ টাকা। এরপর প্রতি দুই স্টেশন পর ১০ টাকা ভাড়া যোগ হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল অংশের কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পুরো পথ উন্মুক্ত হবে।
২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল বানাতে সরকারের খরচ হচ্ছে ৩১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর স্টেশন সংখ্যা ১৭টি। মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বলেও জানান কাদের।
এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। সর্বশেষ ব্যয় প্রস্তাব অনুযায়ী জাইকা দেবে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদ/কেএ