রয়টার্সকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব নেতৃত্বাধীন সরকার শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবে। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুরো সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন হাসান দিয়াব। ইরান সমর্থিত শক্তিশালী হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এবং মিত্রদের সমর্থন নিয়ে গত জানুয়ারিতে লেবাননের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।
বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভের মাঝে সোমবার দেশটির আরও দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে দেশটির ৯ এমপি এবং মন্ত্রিসভার অন্তত চার সদস্য পদত্যাগ করেন। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের নেতৃত্বাধীন পুরো সরকার ভাঙনের মুখে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা জানান।
এদিকে, বিস্ফোরণের ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য লেবাননকে ২৫ কোটি ইউরো আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গত ৪ আগস্টের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ ১১০ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মারসাদ অনলাইনে বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদের বরাত দিয়ে হতাহতের এই সংখ্যা জানানো হয়েছে।
বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী বৈরুতের পাশে মজুদের সঙ্গে রাজনৈতিক এলিটদের দুর্নীতি, সরকারের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন অনেক লেবানিজ। বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদ বলেন, নিখোঁজদের মধ্যে অনেক বিদেশি কর্মী এবং লরি চালক রয়েছেন। তাদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিস্ফোরণস্থলে জীবিত কাউকে খুঁজে না পাওয়ার পর লেবাননের সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান বাতিল করেছে। রাজধানী বৈরুতের হাজার হাজার বাসিন্দা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে বসবাস করছেন। অনেকের ঘরে জানালা অথবা দরজাও নেই।
বৈরুতের এই বিস্ফোরণের কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।