আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে ১১ দিন আগে। এখনো মেসি জ্বরে ভুগছে দেশটি। মেসির প্রতি মানুষের আস্থা এতেটাই বেড়েছে যে, দেশটির বড় একটি অংশ লিওনেল মেসিকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে ভোটও দিতে রাজি!
আর্জেন্টিনার তথ্য-বিশ্লেষণী ও জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘জ্যাকোব্বে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়াদোস’ এর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জনপ্রিয় স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা ২৮ ডিসেম্বর জ্যাকোব্বে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়াদোস’ এর এই জরিপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে দেখা গেছে, আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক মেসিকে দেশের জনগণের একটি বড় অংশ প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে ভোট দিতে আগ্রহী। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩.৭ শতাংশ আর্জেন্টাইন নাগরিক মেসিকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে তাকে ভোট দিতে চান।
তবে ৩৭.৮ শতাংশ নাগরিক অবশ্য এই মতের বিপক্ষে। মেসিকে তারা আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান না। এছাড়া ১৭.৫ শতাংশ আর্জেন্টাইন মেসিকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর ০.৯ শতাংশ আর্জেন্টাইন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি কিংবা উত্তর দেননি।
সংস্থাটির ওই জরিপে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে আসে। মার্কা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মেসি তার দেশের রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা একাই পেয়েছেন ৩৬.৭ শতাংশ ভোট। রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের ফেডারেল ডেপুটির দায়িত্ব পালন করা রাজনীতিবিদ হাভিয়ের মিলেই পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ কির্চনার পেয়েছেন ১১.৩ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান প্রপোজালের প্রধান ও মরিসি মাক্রি প্রেসিডেন্ট থাকতে নিরাপত্তা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা প্যাট্রিসিয়া বুলরিখকে ৮.৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। ৬.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাক্রি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ পেয়েছেন ১.৩ শতাংশ ভোট। এর বাইরে আরও তিন-চারজন রাজনীতিবিদকেও ভোট দিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা। তবে কেউ ৩ শতাংশ ভোটও পাননি।
অর্থসংবাদ/কেএ