বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিইউ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান সিপিটিইউ মহাপরিচালক মোহাম্মাদ সোহেলার রহমান চৌধুরী।
এ সময় বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বিদায়ী সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান উপস্থিত ছিলেন। মোরশেদ জামান বলেন, ইজিপি অনেক কাজ করছে, অনেক পরিবর্তনও এসেছে। বিশ্বব্যাংক এটিকে পছন্দ করেছে। বিভিন্ন দেশকে তারা পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের ই-জিপি কার্যক্রম অনুসরণ করার জন্য। মোজাম্বিকের একটি দল এরই মধ্যে প্রশিক্ষণের জন্য এসেছে।
সিপিটিইউ মহাপরিচালক সোহলার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বান করা দরপত্রের বিজ্ঞাপন ও চুক্তির শতভাগ প্রকাশিত হচ্ছে। দরপত্রের ৯৯ শতাংশ নির্ধারিত দরপত্র মেয়াদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে। এ সিস্টেম থেকে বছরে ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা আয় হয়। এ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় এক হাজার ৯৬১ কোটি টাকা।
তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ই-জিপি চালুর পর ক্রয়প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৬ দশমিক ৭ দিন থেকে ৫৮ দিন হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারের ফলে বার্ষিক ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। দরদাতাদের ৪৯৭ মিলিয়ন কিলোমিটার ভ্রমণ দূরুত্ব কমেছে। এক হাজার ৫৩ মিলিয়ন পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কার্বন নিসরন কম হয়েছে।
সোহেলার চৌধুরী আরও বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ (৬ দশমিক ৫ লাখ)। নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যাও এক লাখের বেশি। ৫৯টি ব্যাংকের ৬ হাজার ৫০০ শাখার অধিক সারাদেশে দরদাতাদের পেমেন্ট সেবা দিচ্ছে। অনলাইনেও পেমেন্ট চলছে। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতেও ই-জিপির একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। এরই মধ্যে এ সিস্টেমটি আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পেয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম