বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে এই সেবায় আমানত বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবরে যা ছিল ২২ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে ৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।
গত বছরের অক্টোবরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার। গত অক্টোবরে যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার। গত অক্টোবরে এই সেবায় পুরুষ গ্রাহকের হিসাব ছিল ৮৫ লাখ ২২ হাজার ও নারী গ্রাহকের হিসাব ছিল ৮২ লাখ ৭০ হাজার। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুরুষ গ্রাহকের হিসাব ছিল ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ও নারী গ্রাহকের হিসাব ছিল ৫৭ লাখ ২৩ হাজার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে পুরুষ ও নারী গ্রাহকের ব্যবধান কমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত অক্টোবরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৫৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। তার আগে সেপ্টেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় ঋণও মিলছে। গত অক্টোবরে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্টরা ঋণ দিয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরেও একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল এজেন্টরা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ৯ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেওয়া হয়। যদিও প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ঋণের সুদের হার ২০ শতাংশের বেশি।
এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও দেওয়া যায়। গত অক্টোবরে এ সেবার মাধ্যমে পরিষেবা বিল পরিশোধ হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১৩৮ কোটি টাকা। আর এজেন্টদের মাধ্যমে গত অক্টোবরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা।
২০১৪ সালে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। ওই বছর ব্যাংক এশিয়া ও অগ্রণী ব্যাংক সেবাটি চালু করে। ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও নিয়ে গেছে।