রোববার (০১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্য দেখতে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি, আমরা কি রফতানি করতে পারি বা কোথায় থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি, প্রত্যেকটা দূতাবাসকে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, খাদ্যের চাহিদা কখনো কমবে না, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য রফতানিগত সংকট, সে সংকটের সময় খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে তা রফতানি করে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমি বলেছি, এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে।’
তিনি বলেন, খাদ্যের চাহিদা কখনো থেমে যাবে না, বন্ধ হবে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এখনে বাংলাদেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করতে পারলে আমরা লাভবান হব।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সরকার জনগণের টাকায় ভর্তুকি থেকে সরে আসতে চায়। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ক্ষেত্রে শিল্পকারখানা মালিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ আর গ্যাস উৎপাদন করতে যে খরচ সেটা দিতে হবে।’
সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে চলেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে, আমরা সারাদেশে একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক করে ফেলেছি। রেল থাকতেই হবে, সেটা আরও উন্নত করতে হবে, আমরা সেটা করে দিয়েছি। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। আমি এটাকে কমলাপুর পর্যন্ত করতে বলে দিয়েছি।’
এ সময় পাটের উৎপাদন, বিপণন ও রফতানির বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাটজাত পণ্যকে বর্ষ পণ্য ২০২৩ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘ব্যবসা বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সড়ক পথ, রেলথ, নৌপথ সব কিছুর আমরা উন্নয়ন করছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সড়কসহ সকল ধরণের চলাচল অবকাঠামোর উন্নয়ন করে চলেছে। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল পদ্মা সেতু। সেটিও নির্মাণ হয়েছে।
সারাদেশ আমাদের ডিজিটাল নেটওয়ার্কে চলে এসেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা, বেসরকারি খাতে মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যাতে করে সকলে কাছে সেবা পৌঁছায়। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি, বেসরকারি খাতের প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সেটা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আমরা শুরু করি ১৯৯৬ সালে।