সূত্র মতে, একটি ইক্যুইটি ও একটি বন্ড দিয়ে এটিবি মার্কেটে লেনদেন শুরু হবে। ইক্যুইটি হিসাবে লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের তালিকাভুক্তি সম্পূর্ণ হয়েছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের বন্ডটিও তালিকাভুক্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবে।
লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন হলো ২৬৯ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ বাজারে ছাড়বে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট এই কোম্পানিটি। এজন্য প্রথম দিন ফেয়ার ভ্যালুতে শেয়ার বিক্রি করবে লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে লংকা বাংলা সিকিউরিটিজকে। একই সঙ্গে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ২১০ কোটি টাকা বন্ডটির লেনদেনও শুরু হবে ৪ জানুয়ারি। সূত্র বলছে, বন্ডটিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স। বন্ডটির প্রতিটি ইউনিটের মূল্য ছিল ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ষান্মাষিক ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ কুপন রেটে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদান করবে।
এছাড়া ও বেঙ্গল মিট ও এএফসি হেলথের মতো প্রতিষ্ঠান এটিবিতে তালিকাভুক্তির আবেদন করেছে। তবে এখনও এই দুটি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির বিষয় নিশ্চিত হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এটিবি মার্কেট চালু হলেও এই বছরের এর পরিধি বাড়বে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম দিকেই এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ফান্ড-ইটিএফের লেনদেন হবে এটিবিতে।
জানা গেছে, ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ডিএসই এটিবিতে তালিকাভুক্ত করবে না। অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডকে একটি গতিশীল এবং পরিচ্ছন্ন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে উৎপাদন বা কার্যক্রমে থাকা কোম্পানি সব শর্ত পূরণ করলে এটিবিতে তালিকাভুক্ত করা হবে।
যদিও ২০২১-এর ১৬ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনায় ওটিসিতে থাকা ১৮টি কোম্পানিকে এটিবিতে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই অনুযায়ী গত বছর আগস্টে ডিএসই অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড রেগুলেশন ২০২২-এর অনুমোদনও দেয় বিএসইসি।
তবে ওটিসির কোম্পানিগুলো সম্প্রতি অর্থসংবাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কোম্পানির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও তিনটি কোম্পানির সম্পদ কয়েকটি ব্যাংক নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলো কাগুজে কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
রেগুলেশন অনুযায়ী ওটিসিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ শেয়ার ডিমেট বা ইলেকট্রনিক্স আকারে থাকলেও এটিবিতে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। সেই হিসেবে ওটিসিতে পাঠানো ইউনাইটেড এয়ার লিমিটেডের এটিবি তালিকাভুক্তির যোগ্য হলেও তা হচ্ছে না। কারণ ডিএসই কর্তৃপক্ষ উৎপাদন বন্ধ বা কার্যক্রমে নেই এমন কোম্পানিকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত করবে না। তবে মিতা টেক্সটাইলসহ কয়েকটি কোম্পানি উৎপাদনে থাকলেও শেয়ার ডিমেট আকারে না থাকায় এটিবিতে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না।