বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজকের সভায় যেখানে সেখানে ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে না তোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আলাদা আলাদা ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য আলাদা আলাদা অঞ্চল বরাদ্দ করা হবে।
‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ এর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এটার বাস্তবায়নে বেশ কিছু জটিলতাও বিশ্বব্যাংকের ১০টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোর ব্যবসায়ের পরিবেশের সহজীকরণ প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে- ব্যবসা শুরু, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষা, কর পরিশোধ, সীমান্ত বাণিজ্য, চুক্তি কার্যকর ও দেউলিয়াত্ব মীমাংসা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান উন্নীত করতে পারলে আমাদের সময় বাঁচবে, সময় বাঁচলে আমাদের অহেতুক যে অনেক খরচ বেড়ে যায় সেটিও বাঁচবে। সময় ও খরচ দুটিই বাঁচার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশও অনেক উন্নত হয়ে যাবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর সূচকটি পরিমাপ করা হয় ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় এবং এ-সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। ১০টি সূচকের মধ্যে যে সমস্ত কাজগুলো আগে করলে বেশি মার্কস পাওয়া যাবে সে বিষয়গুলোকে আগে গুরুত্ব দিয়ে আগে সম্পাদন করতে হবে।’ সভায় এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়।
সভায় আরও সংযুক্ত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।