বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
নতুন মেয়াদ বাড়ানোতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধে সময় পেল অর্থনৈতিক দুর্দশায় ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
চলতি মাস জানুয়ারি, আগামী ফেব্রয়ারি ও মার্চ মাসে একটি করে কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছিল।
তবে গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে সাইডলাইনে শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ দেশটি ঋণ ফেরত দেওয়া শুরু করতে পারবে।
তবে সেই ঋণ ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা না দেওয়ায় ফের আরও ছয় মাস সময় বাড়ানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন মুখপাত্র মেজবাউল।
বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালে বাংলাদেশের শরণাপন্ন হয়। ২০ কোটি ডলার ধার দিয়ে সে সময় বন্ধুপ্রতীম দেশটির পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক দেশটিকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিলেও পরে কয়েক কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার দেয় ‘কারেন্সি সোয়াপের’ মাধ্যমে।
ওই ঋণ পরিশোধের কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে। লাইবর রেটের সঙ্গে ২ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে শ্রীলঙ্কা তা দিতে পারেনি। এরপর দেশটির অর্থনীতি আরও নাজুক হয়ে এক পর্যায়ে তা দেউলিয়া হয়ে যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম