পুষ্টিকর খাবার
অ্যাকুরিয়ামের মাছের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানসম্পন্ন খাবার দিন। ফ্রোজেন খাবারগুলোতে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, যা মাছের মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহের বড় উপাদান হতে পারে।
পানি পরিবর্তন
শীতকালে ঠান্ডা পানিতে অ্যাকুরিয়ামটি পূর্ণ করলে পানির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। যাতে মাছের বিভিন্ন স্ট্রেসড হতে পারে। বেশি পরিমাণে পানি পরিবর্তনের বদলে কম পরিমাণে যেমন সাধারণত ২০-২৫% পানি নিয়মিতভাবে ৭-১৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন।
ঠান্ডা প্রবেশ বন্ধ
রাতে মাছের অ্যাকুরিয়ামগুলো যাতে ঠান্ডার সংস্পর্শে না আসে, সেটি নিশ্চিত করুন। যদি অ্যাকুরিয়াম জানালার পাশে থাকে তাহলে নিয়মিত জানালা বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে রাতের বেলা। সেইসঙ্গে জানালার পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটারের সাহায্যে প্রতিদিন পানির তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। যাতে মাছের জন্য আদর্শ পানির তাপমাত্রা বজায় থাকে। কোনোভাবেই যেন আদর্শ তাপমাত্রার নিচে নেমে না যায়।
হিটারের আকার
অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার হিটারটি যথেষ্ট কি না, তা পরীক্ষা করতে পারেন। যদি অ্যাকুরিয়াম ৫০ লিটারের হয়, তাহলে ৫০ ওয়াটের হিটার ব্যবহার করুন। ৫০ লিটারের উপরে ১০০ লিটারের সমান বা কম হলে ১০০ ওয়াটের হিটার ব্যবহার করুন। তাই ৫০-১০০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ১০০ ওয়াট, ১০০-১৫০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ১৫০ ওয়াট, ১৫০-২০০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ২০০ ওয়াট এভাবে হিটার নির্বাচন করুন।
এয়ার পাম্প
অ্যাকুরিয়ামে বড় সাইজের মাছ যেমন কার্প, কমেট বা গোল্ডফিস বা মনস্টার টাইপের মাছ থাকলে পরিমাণমতো অক্সিজেন সাপ্লাই দিন। এয়ার পাম্প কিনে পাইপ ও এয়ার স্টনের মাধ্যমে বাতাস সাপ্লাই করতে পারেন। এতে বাতাসে থাকা অক্সিজেন পানিতে মিশে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম