গেল সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৪২ হাজার কোটি টাকা

গেল সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৪২ হাজার কোটি টাকা
আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহে বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারাবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন ৫৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৬১ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা ৪১ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫০৪ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৫১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা বা ৫৫.১৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯০৩ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১২৬ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৬৮৮ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭২৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৪০০ কোটি ২৪ লাখ ৭৪ হাজার ১২৬ টাকা বেশি হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ২১ হাজার ৪০১ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার টাকা বা ৬.৪১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩৮.৪৯ পয়েন্ট বা ৭.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০৩.৩২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭৭.৩৬ পয়েন্ট বা ৭.৬৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১৮.৪৩ পয়েন্ট বা ৮.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৮৮.৪৬ পয়েন্টে এবং ১৫৯৪.৩০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮২টির বা ৭৮.৫৫ শতাংশের, কমেছে ৫৯টির বা ১৬.৪৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৫.০১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭১ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৭ কোটি ২৭ লাখ ০১ হাজার ২১৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৩ টাকা বা ৬১.২১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬৩.২২ পয়েন্ট বা ৭.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬১.১০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৫৬০.৩৪ পয়েন্ট বা ৭.৪৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৬৮৮.৩৪ পয়েন্ট বা ৬.৩৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৮৩.৪৩ পয়েন্ট বা ৯.৩৯ শতাংশ এবং সিএসআই ৬৬.৬৬ পয়েন্ট বা ৮.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৭২.৯৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৪৮৩.৪৮ পয়েন্টে, ৯৭১.৮৯ পয়েন্টে এবং ৮৭১.৬৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২৬টির বা ৭১.৯৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ৫৬টির বা ১৭.৮৩ শতাংশের কমেছে এবং ৩২টির বা ১০.১৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর বাজার মূলধন ২০ হাজার ৫৫১ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ৭.৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত