একই সঙ্গে সিএমএসএমই প্যাকেজের ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে চলতি বছরের ৩১ আগস্টের পরিবর্তে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
করোনাকালীন ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং চারটি এনবিএফআইয়ের এমডি ও প্রধান নির্বাহীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ তহবিল থেকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না। এজন্য গভর্নর আজ ১৫টি ব্যাংক ও চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি ও নির্বাহীদের ডেকে বলেছেন, যেকোনো মূল্যে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ করতে হবে।
এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঋণ বিতরণের জন্য আগামী ৩১ আগস্টের পরিবর্তে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু গভর্নর ডিসেম্বর পর্যন্ত না বাড়িয়ে ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এছাড়া টার্গেট অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়।
মহামারির কারণে অচলাবস্থায় দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে সিএমএসএমই খাতের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ সুবিধার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ হিসাব করা হলেও ঋণগ্রহীতাদের দিতে হবে ৪ শতাংশ সুদ। অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সুদের অর্থ সরকার ভর্তুকি আকারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে দেবে।
এদিকে সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণে উৎসাহিত করতে ইতোমধ্যে নীতিমালার বিভিন্ন শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেয়া হয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধাও।