ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে কিছু শাখায় সান্ধ্য ব্যাংকিং করে থাকে। আবার বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্র ও শনিবার অনেক শাখা খোলা রাখা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ২২ মার্চের নির্দেশনায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সান্ধ্যকালীন এবং সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্যাংকগুলোকে এখন থেকে আগের নিয়মে নিরবচ্ছিন্নভাবে দাপ্তরিক ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীরা চিকিৎসকের প্রত্যয়ন বা মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে অফিসে আসা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এছাড়া ২২ মার্চের ওই সার্কুলারে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ওপর জোর দেওয়া সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে ব্যাংকিং খাতে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং এর কমিউনিটি সংক্রমণ রোধে বিশেষ পরিস্থিতিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরবচ্ছিন্ন জরুরি ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা জোরদার করা, রেশনিং বা রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন ছুটি, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আগের ওই নির্দেশনায় আংশিক সংশোধনী আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।