এসময় টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানের অন্য প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুর সেকশনে সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলওয়ের নতুন তিন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার বাংলাদেশ রেলপথে যুক্ত হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার রুটে লুপ লাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
এদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে রূপপুর স্টেশন। এই স্টেশন হয়ে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহার করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন এবং স্টেশন রয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদ/কেএ