অন্যদিকে আমদানি বাড়লেও মসলাপণ্যটির দাম কমেনি, উল্টো বেড়েছে। এক মাস আগের তুলনায় প্রতি কেজি শুকনা হলুদ ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৮৯২ টন। যার আমদানি মূল্য ১৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ বন্দর দিয়ে শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছিল ১২ হাজার ৩৭৯ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ১৪০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে চলতি অর্থবছর পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ২ হাজার ৫১৩ টন।
ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলা পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকরাী মো. আবু হাসান জানিয়েছেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে তার প্রতিষ্ঠান শুকনা হলুদ আমদানি কিছুটা বাড়িয়েছে। দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদাই আমদানি বাড়ানোর প্রধান কারণ। সপ্তাহে অন্তত ৩৫-৪০ ট্রাক শুকনা হলুদ আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এসব আমদানীকৃত শুকনা হলুদ রাজধানী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা শহরের মসলাপণ্যের সবচেয়ে বড় মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স সাহা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সমরেশ সাহা জানিয়েছেন, এক মাসের ব্যবধানে গুঁড়া হলুদের দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। আগে যে গুঁড়া হলুদ পাইকারিতে প্রতি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ৪২০-৪৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শুকনা হলুদ আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি পণ্যটি আমদানি করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়।
অর্থসংবাদ/এসএম