কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। পরের মাস অর্থাৎ আগস্টে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং সদ্য বিদায়ী বছরের সর্বশেষ মাস ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছে ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনা কাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। এর আগে গত বছরের জুলাই মাস শেষে হিসাব সংখ্যা ছিলো ১৮ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৩টি। অর্থাৎ আলোচিত এই ছয় মাসে হিসাব বেড়েছে ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৮১০টি।
এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৭০ জন। অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার ৪৯৩ জন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৬৩৭ জন।
মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ১৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ১২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ১৯ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম