তিনি বলেন, আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো। আইএমএফ আমাদের মোট জিডিপির তুলনায় যে ঋণ দিয়েছে সেটা পরিমাণে খুবই কম। এজন্য বলি আইএমএফের শর্তে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের ভর্তুকি কমাতে হতো এবং কিছু পণ্যের দাম বাড়াতে হতো।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের ঋণের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। পণ্যের দাম বৃদ্ধির শর্ত আইএমএফের ঋণে নেই। যা চেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি। আমাদের সার্বিক অর্থনীতির প্রতি আইএমএফ আস্থাশীল বলেই ঋণ দিয়েছে। ঋণ দিতে পেরে আইএমএফ খুব খুশি। পাকিস্তান এখনও আইএমএফের ঋণ পায়নি, কিন্তু আমরা পেয়েছি; মানে বেশিই পেয়েছি।
আইএমএফের ঋণ কোথায় ব্যবহার হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋণ বাজেটে ব্যবহার করা হবে। তার মানে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই ব্যবহার হবে আইএমএফের ঋণ।
এদিকে, দেশে চালের বাজার ব্যবস্থাকে প্রতারণামূলক দাবি করে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের বাজার ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে। চালের বাজার পুরো প্রতারণামূলক। যে নামে চাল তৈরি হয় তা ব্যাগের ভেতরে থাকে না। স্বর্ণা চাল মোটা, এটাকে চিকন করে পুষ্পমতি নামে বিক্রি করা হয়। মোটা চাল চিকন করে। যে নামে ধান সেই নামে চাল বিক্রি করতে হবে। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে দেওয়া যায় না, এটা বন্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, পোলিশ করে চাল ফেলে দেওয়া (ছেঁটে ফেলা) হয়, পোলিশ করে এটা চিকন করে। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে পারে না। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে এনে চিকন চাল তৈরি করা হয়। তিনটা মেশিন পার করে মোটা চাল চিকন করে। এ বিষয়ে দ্রুত পক্ষেপ নেওয়া হবে। চালের প্রকৃত পুষ্টি চালের ওপরের স্তরে থাকে। অথচ এটা ছেঁটে ফেলে দেওয়া হয়, এটা চলতে পারে না।
দেশে সামাজিক বৈষম্য কমছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈষম্য সব দেশেই বাড়ে। সামাজিক বৈষম্য কমাতে আমরা কাজ করছি। আমরা আড়াই কোটি মানুষকে সাহায্য দিয়েছি। বিনামূল্য বই দিয়েছি বৈষম্য কমিয়ে রাখার জন্য। ২০৪১ সালে কুঁড়েঘর জাদুঘরে রাখতে হবে। এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন, ঘরে রঙিন টেলিভিশন। কারো পা খালি আছে? তার মানে বৈষম্য কমছে। বৈষম্য কমাতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। উন্নয়ন সংলাপে অংশ নেন- ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-হামান, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দপ্তর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।