তিনি বলেন, সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) একটি প্রতিনিধি দল গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ডিজিটের সুদহার বাস্তবায়ন, খেলাপি ঋণ, ব্যবসা সহজীকরণ, বর্তমান পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি এবং এক্সচেঞ্জ রেট নিয়ে আলোচনা হয়। তবে পুঁজিবাজারের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন গভর্নর।
তিনি ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় এ পর্যন্ত যেসব প্রস্তাব পাওয়া গেছে তার মধ্যে সর্বোত্তম প্রস্তাব বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ধরনের সহায়তা করবে।
বৈঠকে ডিসিসিআই’র সভাপতি শামস মাহমুদ, সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস এবং সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশির উদ্দিনসহ পর্ষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও ক্রেতা সঙ্কটে ধারাবাহিক দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার। সাত কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪০০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। সূচকের এই বড় পতনের প্রতিবাদে লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ থেকে বরাবরের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দরপতনের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করেন বিনিয়োগকারীরা।