তিনি বলেন, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৩০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। আরো ৫৫ হাজার টন কয়লা কয়েকদিনের মধ্যে আসবে। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা সমাধান হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন হবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।'
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে আবারো উৎপাদন শুরু করেছি। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল, তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
আনোয়ারুল আজিম বলেন, আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট প্রতিদিন চালিয়ে রাখতে ৫ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী ৩০ হাজার টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরো ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালু হলে দিনে কয়লা লাগবে ৯ থেকে ১০ হাজার টন। বর্তমানে তাদের ৬ লাখ টন কয়লার ক্রয়াদেশ দেয়া আছে। নতুন করে ডাকা দরপত্রে অংশ নিয়ে আরো ৬০ লাখ টন কয়লার ক্রয়াদেশ পেয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের একটি শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ। শুরু থেকে তারাই এ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করছে। ৬০ লাখ টন কয়লা দিয়ে আগামী তিন বছর রামপাল কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হচ্ছে এসব কয়লা।