ইইউ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইইউর সাতটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা চায় আগামী নির্বাচনে যেন বিএনপিসহ সব দল অংশগ্রহণ করে।’
ইইউ আগামী নির্বাচন নিয়ে যা বলছে, এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আপনাদের মতামত কী’ এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার বক্তব্যেও বলেছেন, আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু, অবাধ হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আজকে আমাদের বক্তব্যের কোনো ভিন্নতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন আমরা তাই প্রতিধ্বনি করেছি। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ ছিল কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো কারো নির্দেশনা শুনব না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান ও আমাদের গঠনতন্ত্র, যা আমরা ফলো করি। আমাদের দেশে ইলেকশনের যত রিফর্ম হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এবং তার উদ্যোগেই হয়েছে। এমনকি ইলেকশনের জন্য একটি আইনও সংসদে পাস হয়েছে। যে দল সংলাপে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ উপেক্ষা করে, এমনকি ইলেকশন কমিশনও তাদের দুবার সংলাপে আমন্ত্রণ করেছে। তবে সংলাপের ব্যাপারে বিএনপির বরাবরই একটা অনাগ্রহ রয়েছে। আসলে মনের দিক থেকে বিএনপি ইলেকশনে যেতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তারা জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি কূটকৌশল অবলম্বন করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যে ইনফরমেশন পাচ্ছি তাতে বিএনপি ২০১৪-১৫ সালের মতো আবারো আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ওপর ভর করে সরকার উত্খাতের পরিকল্পনা করছে। আন্দোলনের নামে তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতাটা ছিল তা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিনজন কমিশনার সিলেক্টর ছিলেন তিনি। সেই ক্ষমতার বলে তিনি আইনগতভাবে সার্চ কমিটি গঠন করেন ইনডিপেনডেন্ট লোকজনকে নিয়ে। তার মানে বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৭৫ সালের পরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজেই আমরা ভালো একটা ইলেকশন চাই। ইলেকশন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে আমরা আরো ম্যাচিউর দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন আমরা তা করছি।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।