ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ডিএসইর একজন সদস্য প্রতিদিন লেনদেন করার জন্য ১০ কোটি টাকা ফ্রি মার্জিন ভোগ করেন। অর্থাৎ এই টাকা লেনদেন করার জন্য ডিএসইর কাছে টাকা রাখার প্রয়োজন হয় না। এর চেয়ে বেশি লেনদেন করতে হলে সদস্যদেরকে ব্যাংক গ্রান্টি বা ডিএসইতে টাকা জমা রাখতে হয়। এটিকে বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছে ডিএসইর সদস্যরা।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে মন্দাভাব চলেছে। ফলে অনেক ব্রোকার আর্থিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে। এই মহুর্তে যদি ডিএসইকে বাড়তি টাকা দিয়ে লেনদেন করতে হয়, তাহলে তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এখানে আর্থিক খরচের বিষয়টি জড়িত। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে যে অবস্থা বিরাজ করছে; তা ধরে রাখার জন্য ব্রোকারদের মার্জিন বাড়ানো জরুরি। তাদের দাবী এটি কমপক্ষে দ্বিগুণ করা হোক।
এদিকে ফ্রি মার্জিন লিমিট গণহারে না দেওয়ার পক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসই মনে করেন সবার সক্ষমতা সমান নয়। ফলে সবাই সমান হারে সুযোগ না নিয়ে যাদের প্রয়োজন তারাই শুধু নিতে পারবে। বিভিন্ন সূচক ধরে একটি প্রস্তবাবনা তৈরি করছে ডিএসই। এটি তারা কমিশনে জমা দিয়েছে। কমিশন বিচার বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিবে।
ডিএসই ব্রোকারদের এ,বি,সি,ডি এবং ই এই ৫টি ভাগে ভাগ করেছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর গড় টার্নওভারের দ্বিগুণ বা কোম্পানির নিট মূল্যের ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে যে পরিমাণ কম হবে সেটি দেওয়ার পক্ষে ডিএসই। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বিএসইসি।
ডিএসইর প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে প্রতিদিন গড় লেনদেন ১০ কোটি টাকার উপরে তাদেরকে ৩০ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট, ৫-১০ কোটি টাকার উপরে তাদেরকে ২০ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট, ৩-৫ কোটি টাকার উপরে তাদেরকে ১৫ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট, ১-২ কোটি টাকার উপরে তাদেরকে ৫ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট এবং ১ কোটি টাকার নিচে হলে তাদেরকে ১ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, ব্রোকারদের দাবীর প্রেক্ষিত বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে কমিশন। এছাড়া পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সরকার কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষাসহ ব্রোকারদের মার্জিন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করে ভালো সিদ্ধান্ত নিবে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন।