প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০২৩ সালে ভ্রমণকাহিনিতে বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত ইকতিয়ার চৌধুরী।
তিনি বলেন, “বইটি ভ্রমণ লেখকদের দারুণ দারুণ সব অভিজ্ঞতার একটি ব্যতিক্রমী সংকলন যা সচরাচর চোখে পড়ে না। আমি মনে করি ভ্রমণপ্রিয় প্রতিটি মানুষই বইটি পড়তে আগ্রহী হবে এবং তাদের বইয়ের শেলফে একটি দারুণ সংগ্রহ হিসেবে যুক্ত হবে বইটি।”
'গো উইথ আশরাফুল আলম' নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেন্ট নির্মান করা ব্যাক্তি বলেন, ‘ট্রাভেলার’বইটিতে লেখকগন এমনভাবে তাদের ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করেছেন যেটা পাঠক পড়া মাত্রই অনুভব করবেন তিনি নিজে সশরীরে স্পটে উপস্থিত আছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘বইয়ের সম্পাদক ‘আহসান রনি’ দেশসেরা ট্রাভেল লেখকদের লেখা এক মলাটে একত্র করতে পেরেছেন যে কারনে ট্রাভেলার বইটি অনেক বেশী ইন্টারস্টেটিং হবে পাঠকদের জন্য’।
বইটিতে সংগ্রাম ও সাফল্যের বিশ্ব ভ্রমণে শ্বাসরুদ্ধকর ফিলিস্তিনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লিখেছেন বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশ ভ্রমণ করা প্রথম বাংলাদেশি পতাকাবাহী অভিযাত্রী নাজমুন নাহার, বর্তমানে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত রকেট সায়েন্সের শিক্ষার্থী শাহ জালাল জোনাক লিখেছেন মহাকাশযানের মহাকাশে যাওয়া দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে, দেশে সাধারণ মানুষের গল্পগুলোকে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দোলন চাঁপা দত্ত, উম্মে হাবিবা লিখেছেন অমায়িক মানুষের দেশ থাইল্যান্ডে ১১ মাস থাকা ও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, তৌফিক আহমেদ তমাল লিখেছেন প্রতিকূল পরিবেশে পাহাড় জয়ের রুদ্ধশ্বাস অভিযানের অভিজ্ঞতা।
নতুন দেশ ভ্রমণের অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা লিখেছেন কবি ও লেখক কামরুল হাসান, ভ্রমণ গদ্য-এর সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, মুক্তিযোদ্ধা ও গল্প-উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী লেখক ও অনুবাদক ফরিদুর রহমান, ঢাকা ট্যুরিস্টের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান, ভ্রমণ লেখক, সংস্কৃতিকর্মী ও উদ্যোক্তা সুমন্ত গুপ্ত, কেআইটি রয়েল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট, অ্যামস্টারডাম, নেদারল্যান্ডসের এপিএইচ স্টুডেন্ট রিফাত রহমান, ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস রিও গ্রান্ডে ভ্যালি’র মাস্টার্সের ছাত্র ও গবেষক এস এম সারওয়ার নবীন, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট ও ট্রাভেলার মোঃ তহীদুল ইসলাম মাছুম, বিশ্বসেরা মিউজিক অ্যাপ স্পটিফাইয়ে চাকরি করা বাংলাদেশী মীর রাসেল আহমেদ ও আইনের শিক্ষার্থী মমতাজ জেসমীন।
দেশের ঐতিহ্য, সৌন্দর্য ও দারুণ দারুণ স্থান ঘুরে নিজেদের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লিখেছেন ঐতিহ্য পর্যটক ও শিক্ষক এলিজা বিনতে এলাহী, এবিসি রেডিও'র আরজে নাদিয়া নিতুল ইসলাম, পর্যটক ও ‘গো উইথ আশরাফুল আলম’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মোঃ আশরাফুল আলম, দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ'র প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম, দেশের ৬৪ জেলা ঘুরে লিখেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
ভারতের প্রতিটি প্রদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন ট্রাভেলার ও ভ্রমণ লেখক সজল জাহিদ, ইস্তানবুল নিয়ে লিখেছেন লেবনিজ সেন্টার ফর ট্রপিকাল মেরিন রিসার্চ-এর গবেষক ফাহমিদা ইয়াসমিন, ইউরোপ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লিখেছেন কানাডায় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার শিক্ষার্থী জেরিন মারজান আশরাফী, রাজস্থানের জয়সলমীর ঘুরে লিখেছেন দেওয়ান আশিক, গ্যাংটক ঘুরে লিখেছেন সাংবাদিক সাদিকুর রহমান।
ব্যতিক্রমী বইটিতে আছে দেশ- বিদেশের ভ্রমণ গল্প, বিশেষ মতামত, বাংলাদেশের ছবি নিয়ে মোমেন্টওয়ালা'র লিড ফটোগ্রাফার মোঃ নাজমুল হোসেনের বিশেষ ছবি সমগ্র, আশা জাহিদের আইটি জ্ঞান, ক্যারিয়ার নিয়ে মোঃ সাইফুল্লার রাব্বী'র বিশেষ ফিচার, দিনাজপুরের আঞ্চলিক ভাষার কবিতা, ভ্রমণ প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার গল্পসহ নানা ধরনের আয়োজন।
বইমেলা'র সাহস পাবলিকেশন্সে (স্টল নং- ৩৮৭-৩৮৮) ও রকমারিসহ অনলাইন বুক শপগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ এই বইটি। রকমারি থেকে বইটি কিনতে পারবেন।
বইটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে ট্রাভেল বাংলাদেশ। সহযোগিতায় আছে ভ্রমণ বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম 'ভ্রমণীয়', ট্রাভেল কোম্পানি 'সার্কেল হলিডেস', ভ্রমণ বিষয়ক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর 'গো উইথ আশরাফুল আলম'। গিফট পার্টনার হিসেবে আছে দ্যা ট্রাভেল গ্রুপ- টিটিজি, হোটেল অপেরা ওশান ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। যেকোন প্রয়োজনে, ০১৬০২৪৪০৬৬০
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বইয়ের অ্যাডভাইজারবৃন্দ, লেখকবৃন্দ, প্রকাশক, সম্পাদক ও শুভানুধ্যায়ীরা।