ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিমানের ফ্লাইট বিজি-৩০৫ এর মাধ্যমে সাত হাজার ৭৪০ কেজি কার্গোপণ্য বিনামূল্যে ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুলে পরিবহন করা হয়েছে। ঢাকার তুরস্কের দূতাবাস এসব পণ্য পাঠিয়েছে।
এভাবে কয়েকটি ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে ৩০ টন ত্রাণসামগ্রী তুরস্কে পৌছেঁ দেবে বলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো থেকে ফ্লাইট বিজি-৩০৬ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে তিন হাজার ১০ কেজি ত্রাণ ইস্তাম্বুলে পৌঁছে দিয়েছে বিমান। কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত তুরস্কের কনস্যুলেট থেকে ওই পণ্যগুলো সরবরাহ করা হয়। টরন্টো থেকে ইস্তাম্বুলে পণ্য পরিবহনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও জরুরি ভিত্তিতে কানাডার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পণ্যসমূহ পরিবহন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুর্গত মানুষের সেবায় সর্বদা পাশে আছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৩ লাখ ৪৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ।
আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা এবারের ভূমিকম্প। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সরকার। অন্যদিকে সিরিয়ার ট্র্যাজেডির শিকার মানুষদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিপর্যস্ত দেশ দুটির পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ ও বিভিন্ন সহায়তা সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।