শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৫ জনকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী বুধবার বেলা ১২ টার মধ্যে বহিষ্কৃতদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী নির্যাতনের সত্যতা মেলে। এর ভিত্তিতে শেখ হাসিনা হলের জরুরী সভায় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অন্তরা সহ ৫ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সভায় ড. মোঃ আহসানুল হক, ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ইসরাত জাহান, আসমা সাদিয়া রুনা ও মৌমিতা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে আমরা বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের কোনো সদস্যকে অসম্মান করা বা লাঞ্ছিত করা কখনই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিধিবিধান আছে সেটা পর্যালোচনা করেই প্রতিপালন করা হবে। নিয়মশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমিও চাই সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক বলেন, আমরা হল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল সন্ধ্যায় জমা দিয়েছি। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সত্যতা পেয়েছে। সত্যতার আলোকে ৫ অভিযুক্তের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এই হলের সাথে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। হল তদন্ত কমিটি ৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে যে ফুলপরীকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করেছে।
তদন্ত কমিটি প্রায় ত্রিশ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং ৮০ পৃষ্ঠার অধিক বিস্তৃত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন রাত ১২ টা থেকে আনুমানিক রাত সাড়ে ৩ টার মধ্যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বিবস্ত্র করার নির্যাতন এবং শরীরে আলপিন ফুটানোর বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও যে ভিডিও করেছে সে দাবি করেছে তার মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে।
মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য প্রক্টর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন যদি লুকিয়ে রাখে তবে সেটি পাওয়া দুষ্কর। সময় বেশি লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এত বিস্তৃত তদন্ত প্রতিবেদন লেখা এবং সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করার কারণে একটু সময় লেগেছে। পুরো ঘটনার সারসংক্ষেপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখিত আকারে দিয়েছি। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ও সংযুক্ত করেছি। কোথায় কোথা কোন কোন ঘটনাগুলো ঘটেছে।সত্যতা পেয়েছি এর আগে প্রকাশ করিনি সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তাবায়ন করা কঠিন হতো।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন এক ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত।
অর্থসংবাদ/এসএ
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী নির্যাতনের সত্যতা মেলে। এর ভিত্তিতে শেখ হাসিনা হলের জরুরী সভায় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অন্তরা সহ ৫ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সভায় ড. মোঃ আহসানুল হক, ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ইসরাত জাহান, আসমা সাদিয়া রুনা ও মৌমিতা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে আমরা বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের কোনো সদস্যকে অসম্মান করা বা লাঞ্ছিত করা কখনই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিধিবিধান আছে সেটা পর্যালোচনা করেই প্রতিপালন করা হবে। নিয়মশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমিও চাই সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক বলেন, আমরা হল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল সন্ধ্যায় জমা দিয়েছি। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সত্যতা পেয়েছে। সত্যতার আলোকে ৫ অভিযুক্তের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এই হলের সাথে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। হল তদন্ত কমিটি ৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে যে ফুলপরীকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করেছে।
তদন্ত কমিটি প্রায় ত্রিশ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং ৮০ পৃষ্ঠার অধিক বিস্তৃত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন রাত ১২ টা থেকে আনুমানিক রাত সাড়ে ৩ টার মধ্যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বিবস্ত্র করার নির্যাতন এবং শরীরে আলপিন ফুটানোর বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও যে ভিডিও করেছে সে দাবি করেছে তার মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে।
মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য প্রক্টর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন যদি লুকিয়ে রাখে তবে সেটি পাওয়া দুষ্কর। সময় বেশি লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এত বিস্তৃত তদন্ত প্রতিবেদন লেখা এবং সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করার কারণে একটু সময় লেগেছে। পুরো ঘটনার সারসংক্ষেপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখিত আকারে দিয়েছি। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ও সংযুক্ত করেছি। কোথায় কোথা কোন কোন ঘটনাগুলো ঘটেছে।সত্যতা পেয়েছি এর আগে প্রকাশ করিনি সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তাবায়ন করা কঠিন হতো।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন এক ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত।
অর্থসংবাদ/এসএ
