তিনি বলেন, বাংলাদেশ খুবই সামান্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় ঢাকাকে বাঁচাতে হলে সবুজায়ন বাড়াতে হবে। গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘গ্রিন সিটি, স্মার্ট সিটি’ শিরোনামে বাংলাদেশ সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকাকে একটি গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এনার্জি ইনস্টিটিউটকে গবেষণার আহ্বান জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে বৃক্ষ রোপণ করছি। ডিএনসিসির সেবাগুলোকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসছি। হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সম্পূর্ণ অনলাইন হয়ে গেছে। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নগরবাসী যেকোনো অভিযোগ জানাতে পারবে ও সেবা পাবে। আমরা প্রায় ৫০ হাজার স্মার্ট এলইডি লাইট লাগিয়েছি। যেগুলো সাধারণ লাইটের তুলনায় খুবই কম কার্বন নিঃসরণ করে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ডিএনসিসি কাজ করতে আগ্রহী। এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি আপনারা আমাদের সিটি নিয়ে স্টাডি করেন, গবেষণা করেন। আপনাদের গবেষণার আলোকে আমরা কাজ করব। সবার সহযোগিতায় স্মার্ট ঢাকা গড়ে তুলতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা দিপাল চন্দ্র বড়ুয়া, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সাসটেইনেবল এনার্জি উইকের কো-অর্ডিনেটর ও ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক ড. এস এম নাসিফ শামস প্রমুখ।