মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
গত নভেম্বরেই ১১ হাজার কর্মীকে ছাটাই করেন মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ। ওই ঘটনার চার মাস পেরুতেই আবারও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
নভেম্বরে ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পর মেটা জানিয়েছিল, নিজেদের আরও শক্ত অবস্থানে নিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছিল, মেটা তাদের পরিধি কমানোয় কাজ করছে। এ উদ্দেশ্যে কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব এবং যেসব দল ‘অপ্রয়োজনীয়’ সেসব দলকে ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা করছে। যদিও এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
নাম গোপন রাখার শর্তে মেটার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন তাদের বিষয়টি ‘পরিধি কমানোর’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এ ছাঁটাইটি পুরোপুরি আর্থিক বিষয়ক।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে গেছে মেটার। এরপরই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক ও সহ-সভাপতিদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলে আসছে। যে তালিকা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে।
নতুন ছাঁটাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন পর পিতৃত্বাকালীন ছুটিতে যাবেন সিইও মার্ক জুকারবার্গ। আর তিনি ছুটিতে যাওয়ার আগেই ছাঁটাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মানে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে।
নভেম্বরে যখন মেটা কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়, তখন বিষয়টি সবার কাছে বিষ্ময়ের মতো ছিল। তবে এরপর আরেক দফায় যে কর্মী ছাঁটাই করা হবে, সে বিষয়টি বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রত্যাশিতই ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মেটার মেনলো পার্কের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা কাজ করছে। ছাঁটাই আতঙ্কে বর্তমানে তাদের মনোবল তলানিতে রয়েছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ছাঁটাই করা হয় তাহলে হয়ত মার্চ মাসে বোনাস দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেই বোনাসও তারা পাবেন না।