ড. রুমানা ইসলাম বলেন, বিএসইসি সবসময় নারীদের আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। বিএসইসির ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ নারীদের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষার আয়োজন করে থাকে। একইসঙ্গে দুই স্টক এক্সচেঞ্জও নারীদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএসইসি জেলাভিত্তিক যেসব কর্মশালা করেছে, সেখানেও নারীদের জন্য আলাদা সেশন রাখা হয়েছে। নারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আলাদা সেশন রাখা হয়। এসব সেশনে শুধুমাত্র নারীরাই অংশগ্রহণ করছে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজারে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে হবে। একই কথা নারীদের জন্যও প্রযোজ্য। আমাদের পুঁজিবাজারে শুধু শেয়ার কেনা ছাড়াও বিনিয়োগের আরও অনেক সুযোগ আছে। যেগুলোতে ঝুঁকি কম (মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ইত্যাদি) সেগুলোতে আমাদের নারীরা বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের নারীরা সঞ্চয় করতে পছন্দ করেন। তাঁদের সঞ্চয় যদি বিনিয়োগে রুপান্তর করা যায় তাহলে তাঁর ইতিবাচক প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারে পড়বে।
২০২২ সালের ৮ মে দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ড. রুমানা ইসলাম। প্রায় এক বছর ধরে বিএসইসির আইন বিভাগের দেখভাল করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে স্নাতক ও ২০০৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ড. রুমানা ইসলাম। তিনি ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আইনের উপর পিএইচডি করেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ড. রুমানা ইসলাম।
অর্থসংবাদ/এসএম