মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনের নেতারা এই প্রস্তাব দেন।
এছাড়া তারা রফতানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপর আয়করের হার ১০ শতাংশ থেকে ০ শতাংশে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদেশি ক্রেতারা রফতানি আদেশ কমিয়ে দিয়েছে। টাকার অংকে রফতানির পরিমাণ বাড়লেও সংখ্যার বিচারে রফতানি হ্রাস পেয়েছে। এমতাবস্থায় উৎসে কর পূর্বের ন্যায় ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলে বর্তমানে বিরাজমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা হোক।
তিনি পণ্য দ্রুত জাহাজীকরণ ও খালাস করার জন্য অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান। সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- রফতানিকে প্রতিযোগী করতে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ১২ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট অব্যাহতি, এইচ এস কোড জটিলতা নিরসন এবং ওয়াশিং-ড্রাই মেশিন ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আমদানিতে শুল্ক ছাড়।
রফতানির বিপরীতে উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়ে বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, উৎসে করের টাকা সমন্বয় করা যাবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। আপনি যদি অতিরিক্ত টাকা নেন তাহলে এটা সমন্বয় করার সুযোগ আমাদের মৌলিক অধিকার। এই বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শূন্য ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেন। একইসঙ্গে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সোলার প্যানেল ও ইটিপি স্থাপনে বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব দেন। সোলার প্যানেল ও ইটিপি স্থাপনে আমদানি করা রাসায়নিকের শুল্ক ও মূসক ০ শতাংশ করার প্রস্তাবও করেন তিনি।
বিটিএমএ রিসাইকেলড ফাইবার ও ম্যানমেইড ফাইবারসহ সকল ধরনের ফাইবারের আমদানি পর্যায়ে যাবতীয় শুল্ক ও মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম