সভায় বাংলাদেশের স্থগিতকৃত জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বে ঘোষিত বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন জিএসপি সুবিধা প্রদান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে, পরবর্তী প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেয়ার বিষয় বিবেচনা করার সুযোগ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত টিকফার ইন্টারসেশনাল সভা মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিসটেন্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ক্রিস উইলসনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ প্রডাক্ট রফতানি, করোনাকালে তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল না করা, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী উৎপাদন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেশন, কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের তৈরি পণ্য সহজে রফতানির বিষয়ে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা কামনা করে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রফতানির ওপর শুল্ক কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে ঘোষিত সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তোলা আমদানির ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা নিরসনে আলোচনা অব্যাহত রাখার পক্ষে মতামত প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুলা রফতানির জটিলতা নিরসন, ই-ওয়াস্ট রেগুলেশন সংশোধন, দেশের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য চালু, বিভিন্ন মার্কিন পণ্য আমদানি শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং বিশ্বমানের রফতানি পণ্য তুলনামূলক কম মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম বলে সভায় জানানো হয়।
উল্লেখ্য, টিকফার ৬ষ্ঠ সভা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে।