বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, গত একদিনে ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৩৬ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার শনাক্তের পর সর্বমোট শনাক্ত সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ আট হাজার ৫৮৩ জনে পৌঁছেছে। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এখন চলছে করোনা সংক্রমণের পঞ্চম মাস। মাস দুয়েক ধরে সংক্রমণ শনাক্ত পরীক্ষা কমায় নতুন রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যু কমছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা যেসব নির্দেশক থেকে বোঝা যায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা; বাংলাদেশে সেগুলো এখনো নেতিবাচক।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন দৈনিক যুগান্তরকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ছুটির মেয়াদ ছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলো।
গত কয়েক দিন ধরেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, দেশে করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ রয়েছে।
দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা শুরু হয়।
টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।
১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও মহামারীর কারণে স্থগিত হয়ে আছে। এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষাও নেবে না সরকার।