তিনি বলেন, প্রথম কয়েক বছর বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে শুধু টাকা আসে। মেয়াদ পূরণের আগে তো বিমা দাবি পরিশোধ করা লাগে না। কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে তা যদি সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করে তাহলে দাবি পূরণের সময় সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু বিমা কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যয় করেছে, ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করেছে, জমি কিনেছে অতিরিক্ত টাকায়। এসব কোম্পানির মালিকরা কখনো অর্থের অপচয় করেছে, কখনো আত্মসাৎ করেছে, ফলে কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টকে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা দাবি পরিশোধ নিয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। আমরা সেগুলো নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করি। কোম্পানিগুলোকে বিমা দাবি পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিই।
তিনি বলেন, বিমা খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলোর থেকে এখন প্রত্যেক প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিচ্ছি। অডিট রিপোর্ট নিতে যেহেতু সময় লাগে, সেজন্য আমরা এটি করছি। কারণ অডিট রিপোর্ট দিয়ে অনিয়ম ধরা সময়ের ব্যাপার। এতে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন প্রান্তিকে যদি দেখি কোম্পানি খরচ বেশি করছে, পরের সময়ে খরচ কম করতে বলি।
বিমার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেন, আমরা কোন বিমা কোম্পানিকে জমি কেনার অনুমতি দেইনি। যৌক্তিক না হলে দেবও না। কোম্পানিগুলোর যে কোন বিনিয়োগে দেখেশুনে অনুমোদন দিব।
আইডিআরএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকমাসের মধ্যে আমরা ২৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি। জনবল বৃদ্ধিতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ শেষ করতে না পারলেও পরের জন্য গাইডলাইন থাকবে।
তিনি বলেন, বিমা আইনকে অবশ্যই যুগোপযোগী করতেই হবে। অফসাইড এবং অনসাইড সুপারভিশনের জন্য গাইডলাইন তৈরী হচ্ছে। ১০ বছর ধরে বীমা আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা দেখেছি কিছু কিছু জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা ২৫টির মতো রেগুলেশন করেছি। ইতিমধ্যে আরও ২৫টি পাইপলাইনে রয়েছে। আমরা এটার পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। সব জায়গায় রেগুলেশনের দরকার নেই। অনেক জায়গায় রয়েছে অডিট করাতে হলে ফার্ম নির্ধারণ করতে হবে রেগুলেশন দ্বারা। এ রকম করতে থাকলে তো রেগুলেশনের ঘুরপাকে থাকতে হবে সারাদিন। বিমা আইন সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যে একটি মিটিংও করেছি। অফিসারদের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা যে যে ধারায় সংশোধনের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করছেন। যত দ্রত সম্ভব আমরা একটি খসড়া তৈরি করে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।