এ প্ল্যাটফর্ম থেকে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও বেশি জনগণ সরাসরি এসব সুবিধা ভোগ করবেন। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট moa.gov.bd থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস service.moa.gov.bd ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা মিলবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে, সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এ পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাগুলোকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদনিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সব সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে।
এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবার সেবাপদ্ধতির ধাপগুলোও বর্ণনা করা হয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছে। এখাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।
বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম