আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, সরকার বাংলাদেশের অবস্থা আজ যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছে, তাতে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশ টিকে থাকবে কি-না, তা নিয়েই মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দেখবেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। মাঠে নেমে দেখি যেখানে আওয়ামী লীগ নাই, সেখানে আছে হামলা লীগ, পুলিশের এক অংশের লীগ, র্যাবের এক অংশের লীগ এবং পেটোয়াবাহিনীর লোকজন।
তিনি বলেন, বাজারে যাবেন, বাজারে কিছু কিনে খাওয়ার উপায় নাই। গতকাল আমি বলেছিলাম হয়তো বাজারে দেখা যাবে, সামনে সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে ব্রয়লার মুরগি কিস্তিতে বিক্রি করা হয়। জিনিসপত্রের দাম এতটা বেড়েছে যে, কিছুদিন পর হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রাইমারি স্কুলের স্টুডেন্টদের ফলাফল নিয়ে পর্যন্ত গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের স্কুলে বা কলেজে জানুয়ারি মাস থেকে বেতন ধার্য করে নেওয়া হবে। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বহু জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছেন তাদের কাছ থেকে গতবছরের টাকাসহ বর্তমান বছরের টাকাও আদায় করা হচ্ছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই ঢাকা শহরে নাকি শতকরা ৮৪ ভাগ ভবন দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকির মধ্যে। যেকোনো সময় একটা ছোট ভূমিকম্প হলেও ঢাকা শহর একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। কোনো দিকে সরকারের কোনো নজর নাই। এ দেশের কোনো অভিভাবক নাই, ঢাকা শহরেরও কোনো অভিভাবক নাই। মানুষ আল্লাহর ওয়াস্তে বেঁচে আছে। আল্লাহর ওয়াস্তে বেঁচে থাকার অনেক মানুষ আছে। কণ্ঠস্বর হিসেবে যারা থাকেন, তাদের মুক্তির দাবিতে আমাদের আজকের এই প্রতিবাদী মানববন্ধন।
তিনি বলেন, পতনের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এই পায়ের আওয়াজ যত কাছে আসবে, যত দীপ্ত হবে কঠিন হবে তত জোরে কিন্তু ধাক্কা দেওয়া হবে। সেই ধাক্কায় এই সরকার পড়ে যাবে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। সেজন্য প্রতিজ্ঞা এবং শপথ নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।