শনিবার (১৮ মার্চ) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে রমজানে পানি সরবরাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
পানি ব্যবহারে রাজধানীবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, আমরা অনুরোধ করব, পানি সরবরাহ আমরা স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব৷ রমজান মাসে আমাদের অনুরোধ পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন। পানি শুধু পয়সা দিয়ে কিনলেই হবে না, পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদা বাড়ছে। আরও বাড়বে৷ সেটা ট্যাকেল করার মতো সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। ঢাকায় পানির চাহিদা প্রচুর ওঠানামা করে।
ওয়াসার এমডি বলেন, শীতকালে পানির চাহিদা থাকে ২০০ থেকে ২১০ কোটি লিটার। শীতে মানুষ পানি ব্যবহার করে কম। শুষ্ক মৌসুমে পানির চাহিদা ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার৷ বর্ষার মৌসুমে পানির চাহিদা কিছুটা কমে যায়। ওয়াসার সক্ষমতা ২৯৫ কোটি লিটার৷
ওয়াসার এমডি বলেন, ঢাকা ওয়াসা আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা শহরের পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকা ওয়াসার সব পানি শোধানাগার ও পানির পাম্পগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। বিদ্যুৎ বিভ্ৰাটকালীন (লোড-শেডিং/লো-ভোল্টেজ/হাই-ভোল্টেজ) সময়ে পানির পাম্পগুলো ‘ডুয়াল সোর্স’ বিদ্যুৎ লাইন/ ফিক্সড জেনারেটর/মোবাইল জেনারেটর দিয়ে চালু রাখা হবে। সবগুলো জোনাল অফিস/এসওসিতে পর্যাপ্ত পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তাকসিম এ খান বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে জনসমাগম স্থান, যেমন: গুলিস্তান, ফার্মগেট, মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, সায়েদাবাদ বাসষ্ট্যান্ডসহ এরুপ সব জোনের বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও সেহরির সময় প্লাষ্টিক ট্যাংক/ট্রলি স্থাপন করে পানি সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর মসজিদগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসায় ৪৮টি পানির গাড়ি এবং ১৭টি ট্রাক্টর প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ লোডশেডিংয়ের সময় স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার সোর্স হিসাবে ৩৮০টি ফিক্সড জেনারেটর এবং ১৯টি মোবাইল জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘ওয়াসালিংক-১৬১৬২' এবং ১১টি অভিযোগ কেন্দ্ৰ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে।
তিনি বলেন, মড্স জোনের পানির পাম্প মনিটরিং করার জন্য বিদ্যমান ১০টি অ্যাডভাইজরি ও মনিটরিং টিম তৎপর থাকবে। আশা করা যায় কোনো সমস্যা দেখা দেবে না। তবে, রমজান মাসে পানি ব্যবহারের প্যাটার্ন কিছুটা বদলে যায়। এছাড়াও গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় উৎপাদন ক্ষেত্রবিশেষে কমে যেতে পারে। কোনো কোনো সময় গভীর নলকূপ/পাম্প মোটর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের অন্যতম বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের আগে থেকেই ঢাকা শহরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও অস্থায়ী দর্শনার্থীর উপস্থিতি বাড়ায় সাময়িকভাবে পানির ব্যবহার বাড়ে।
অর্থসংবাদ/এসএম