শনিবার (১৮ মার্চ) বগুড়ার নওদাপাড়ায় মমো ইন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম-২০২৩ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মভাবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে সরকার পরিবর্তীত হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স অনেক জায়গাতে ধর্মঘট চলছে। জার্মানিতে ধর্মঘটের কারণে বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। এ রকম অস্থির অবস্থায় আমরা পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিং সেক্টর আমরা ধরে রেখে ভালো অবস্থানে আছি। সেটাই ভালো অবস্থান এবং বড় ধরনের অর্জন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ তার টিমকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সামনের দিনে আরো বড় ধরনের বিনিয়োগ ও সঞ্চয় প্রয়োজন হবে এদেশে। সব মিলিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। এই বাজারে যখন যা প্রয়োজন তা আমরা রেগুলেটর হিসেবে সবকিছু করব। এখানে আমাদের কোনো প্রতিপক্ষ নেই। এখানে আমাদেরকে কেউ বাধা দিচ্ছে না। আমাদের যখন যেটা লাখছে তা প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুরু করে সবাই আমাদের সাহায্য করছে। সুতরাং এখন আমাদের সবাই মিলে পজিটিভ মাইন্ডে পার্টিসিপেশন দরকার। পার্টিসিপেশনের মাধ্যমে যদি ট্রানজেকশন বাড়লে সেকেন্ডারি মার্কেট ভাইব্রেন্ট হবে।
লংটার্ম ইনভেস্টমেন্ট ও ফাইন্যান্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লংটার্ম ইনভেস্টমেন্ট ও লংটার্ম ফাইন্যান্সের একমাত্র উৎস হচ্ছে পুঁজিবাজার। যেটা বছরের পর বছর ধরে হচ্ছে না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা লংটার্ম ফাইন্যান্সের প্রয়োজন হলে পুঁজিবাজারমুখী হবেন। গতকাল গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বারবার বলেছেন, লংটার্ম ইনভেস্টমেন্ট দায়িত্বগুলো বড় আকারে পুঁজিবাজারে স্থানান্তর করেন। তাই আমাদের লংটার্ম ইনভেস্টমেন্ট, লংটার্ম ফাইন্যান্স, লংটার্ম লোন ও লংটার্ম রিটার্ন এসব কিছুর জন্য শুধুমাত্র পুঁবিাজারমুখী হতে হবে।
বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
অর্থসংবাদ/এসএম