মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম। গত শুক্রবারেও প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা।
ক্রেতারা বলেন, ২৭০/২৮০ টাকায় কেজিতে ব্রয়লার মুরগি আমাদের মতো ক্রেতারা কীভাবে কিনবেন? হঠাৎ করেই ব্রয়লার দাম এতটা বেড়ে গেল, কেউ কি দেখার নেই? কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, ব্যবসায়ীরা যেমন ইচ্ছে তেমন দাম বাড়াবে? আমরা সাধারণ-গরিব ক্রেতারা এত দামে কী কিনতে পারব? গত শুক্রবারেও বাড়তি দামে ২৫০ টাকায় ব্রয়লার কিনেছি, আজ আরও দাম বাড়িয়ে চাওয়া হচ্ছে ২৭০/২৮০ টাকা।
বিক্রেতারা বলেন, গতকাল থেকে ব্রয়লারের বাজার আবার বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনেছি। গত দুই দিনে বৃষ্টি ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। ব্রয়লারের বাচ্চার দাম আর ফিডের দাম বাড়তি থাকায় মুরগির দামও বেড়েছে। তবে কারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তা জানা নেই। রমজানের আগে বাজার আরও বাড়তে পারে। এখন যে দামে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে তা ব্রয়লারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকায়। যা এক মাস আগেও ছিল ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছর আগে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সব মিলিয়ে এক বছরে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০০ টাকার বেশি বেড়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। অন্যদিকে প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তাতে বর্তমানে উৎপাদন খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে।