এক বিবৃতিতে রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আমি আইএমএফ এবং আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগীদের তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। খবর উইওন নিউজের।
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা ঋণখেলাপি হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে বেলআউট ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পূর্বশর্ত হিসেবে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম।
শ্রীলঙ্কার জ্বালানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেন। গত বছরও ৭৫ শতাংশ বেড়েছিল বিদ্যুতের দাম। ফলে ইতোমধ্যে গত বছরের তুলনায় জানুয়ারিতে ৫৪ শতাংশ বেশি মূল্যস্ফীতি ও ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত আয়করের বোঝায় চরম দুর্দশায় আছে দেশটির জনগণ। সর্বশেষ এই উদ্যোগে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মত দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যস্ফীতি ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছায়।