বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এ প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। তবে বছরের ব্যবধানে এর পরিমাণ গিয়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৪ কোটি টাকায়। এদিকে চলতি বছরের জুন মাসে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার কোটি। সে অনুযায়ী মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মহামারী করোনার ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকরা এখন ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে বেশি লেনদেন করছে। ফলে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে অনলাইনে ব্যবসায়িক পরিশোধের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে আরটিজিএস।
জানা গেছে, যে সব গ্রাহক অনলাইন ব্যাংকিংয়ে এক লাখ বা তার বেশি অংকের টাকা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছেন। তুলনামূলক কম খরচ ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের সুযোগের ফলে অনলাইনে লেনদেন নিষ্পত্তির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখন আরটিজিএস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন অপরাধমূলক লেনদেনের বেশিরভাগই হয়ে থাকে নগদে। এসব বিবেচনায় অনলাইন লেনদেন প্রসারের জোর দিচ্ছে সরকার। এজন্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতির প্রচারণা বাড়ানো, সরকারি পরিশোধ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সরকারি ব্যাংকের শতভাগ অটোমেশনসহ জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকাতায় লেনদেনের স্বচ্ছতা, ঝুঁকি ও খরচের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যবসায়িক বা ব্যক্তি পরিশোধে অনলাইনভিত্তিক ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি আরটিজিএস, এনপিএসবি, বিএসিএইচসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক পরিশোধ সহজ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে চালু করা হয় আরটিজিএস সেবা।
যেভাবে সম্পন্ন হয় আরটিজিএস:
কোনো একটি ব্যাংকের গ্রাহক তার নিজের একাউন্ট থেকে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগে জানাবে যে, তার একাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে হবে। ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ ওই পেমেন্ট অর্ডার বাংলাদেশ ব্যাংকের আরটিজিএসে পাঠানোর সাথে সাথেই সেই একাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যায়।