২০০৬ সালে বিকেএসপিতে হাতেখড়ির পর মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু সাকিবের। এরপরের পরিসংখ্যান তো কম-বেশি সবারই জানা। ২০১১ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানেও অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডের ভার রয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন সাকিব। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে যা করে দেখিয়েছেন তা ছিলো অবিশ্বাস্য। রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছেন, গড়েছেনও।
মাঠের বাইরে নানা বিতর্ক আর সমালোচনাকে থোড়াই কেয়ার করেন তিনি। তবে মাঠের খেলায় তার সিরিয়াসনেসের কমতি নেই। ঘরের মাঠে তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঐতিহাসিক হোয়াইটওয়াশ করেছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। কেবল দেশের হয়েই নন, সাকিব বিদেশী সব ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরেও তার দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন। যার কল্যাণে স্লোগান উঠেছে ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ, সাকিব আল হাসান।’
সাকিব আল হাসানের গণ্ডি শুধুমাত্র ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরের নানা সম্পৃক্ততায়ও সফল সাকিব। বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে উদ্যোক্তা, চ্যারিটিতেও সুনাম কুড়িয়েছেন। গড়েছেন নিজের নামে ক্রিকেট একাডেমি। নিজের ৩৬তম জন্মদিনেও সাকিব অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন। এদিন ‘সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি।
নানা বিতর্কে সরগরম থাকা বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার মানবিক কর্মকাণ্ডগুলোকে খুব একটা সামনেও আনেন না। নীরবে-নিভৃতেই ভালো কাজগুলো করে যান। এবার আরও বড় পরিসরে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেই সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা বলে জানান উদ্যোক্তারা।
ক্রিকেটের ২২ গজে সাকিব সবসময় সিরিয়াস। আবার সতীর্থদের সঙ্গে খোশমেজাজেও তিনি ভিন্ন এক সাকিব। স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে পুরোদস্তুর ফ্যামিলিম্যান। অর্থ্যাৎ সব ভূমিকাতেই তিনি পূর্ণাঙ্গ একজন অলরাউন্ডার।
অর্থসংবাদ/এসএম