তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইনের যৌথ আয়োজনে ‘স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি পাঠ শেখা ও এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের সব মানুষের জন্য সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধান অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন জাতীয় কৌশল- ২০২১ এর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষের সুপেয় পানি সুবিধা, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা, এবং প্রায় ৭৫ শতাংশের হাত ধোয়ার সুবিধা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি সম্পূর্ণ স্যানিটেশন পদ্ধতির পথপ্রদর্শক, যা এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশের কাছে স্বীকৃত এবং অনুকরণীয়।
বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে আব্দুল মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সেবায় অগ্রগতির সংকট সমাধানে কতিপয় সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেন।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তে, ফিলিপাইনের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়ে ইউলো-লয়াজাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুপেয় পানি বিষয়ক একটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। ব্র্যাক, এওএসইডি, বিডব্লিওওটি, জাগো নারী, গ্রাস এবং এসডিএ-কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সোস্যাল সায়েনটিস্ট ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।