সংশ্লিষ্টরা জানান, মহামারি করোনার ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকরা এখন ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে বেশি লেনদেন করছেন। ফলে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে অনলাইনে ব্যবসায়িক পরিশোধের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে আরটিজিএস।
এক লাখ বা তার বেশি অঙ্কের টাকা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। তুলনামূলক কম খরচ ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের সুযোগের ফলে অনলাইনে লেনদেন নিষ্পত্তির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখন আরটিজিএস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে আরটিজিএস মাধ্যমে এক লাখ ৭৬ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আরটিজিএসে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। এদিকে চলতি বছরের জুনের চেয়ে জুলাই মাসে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন অপরাধমূলক লেনদেনের বেশির ভাগই হয়ে থাকে নগদে। এসব বিবেচনায় অনলাইন লেনদেন প্রসারে জোর দিচ্ছে সরকার। এজন্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতির প্রচারণা বাড়ানো, সরকারি পরিশোধ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সরকারি ব্যাংকের শতভাগ অটোমেশনসহ জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় লেনদেনের স্বচ্ছতা, ঝুঁকি ও খরচের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যবসায়িক বা ব্যক্তি পরিশোধে অনলাইনভিত্তিক ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ব্যাংকগুলোর নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি আরটিজিএস, এনপিএসবি, বিএসিএইচসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে চালু করা হয় আরটিজিএস সেবা।
কোনো একটি ব্যাংকের গ্রাহক তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগে জানাবে যে, তার অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে হবে। ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ ওই পেমেন্ট অর্ডার বাংলাদেশ ব্যাংকের আরটিজিএসে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই অ্যাকাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যায়।