শুধু এসব পরিবর্তনই নয়, এবারের আইপিএলে সবচেয়ে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারে’র বিষয়টি। টসের পর দল ঘোষণা- ক্রিকেট বিশ্বে নতুন চালু হতে যাওয়া এসব ধারণা খেলার চেহারা কেমন বদলে দেয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সবাই।
এবারের আসরে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই খেলবে গত বারের ট্রফি জয়ীদের বিরুদ্ধে। একদিকে ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, অন্য দিকে অধিনায়কত্বের আঙিনায় ফিনিক্সের মতো উঠে আসা হার্দিক পান্ডিয়া। এক দিকে গুরু। অন্য দিকে শিষ্য।
এবারের আইপিএলে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিচ্ছে। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম আইপিএলে হতে যাচ্ছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা। গতবারের মতো এবারও দলগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে আছে চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, গুজরাট টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
১০টি দল হলেও এবারের আইপিএল খেলা হবে মোট ১২টি মাঠে। অর্থাৎ প্রতি দলের হোম ভেন্যু ছাড়াও থাকছে দুটি মাঠ। এই ১২টি মাঠ হলো- আহমেদাবাদ, মোহালি, লখনৌ, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা, জয়পুর, মুম্বাই, গুয়াহাটি ও ধর্মশালা।
ধোনির অধিনায়কত্বেই ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। পরে একাধিকবার হার্দিক জানিয়েছেন, তিনি ধোনির থেকে শেখেন। এমনকি গতবার তার নেতৃত্বে যখন গুজরাট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তখনও ধোনির কথা আলাদাভাবে বলেছিলেন তিনি। মাঠে ধোনির মতোই শান্ত থাকেন হার্দিক। সুতরাং, গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানা যাবে আজ (শুক্রবার) রাতে।
তবে গতবারের হিসেব ধরলে, এবারও স্পষ্ট এগিয়ে শিষ্য হার্দিক। গতবারই প্রথম আইপিএলে খেলতে নেমেছিল গুজরাট। সে হিসেবে গতবারই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। দু’বারই চেন্নাইকে হারিয়েছে গুজরাট। অর্থাৎ, এবার খেলতে নামার আগে হার্দিকরা ২-০ তে এগিয়ে রয়েছেন।
গত আসরে (২০২২ সালে) ১৭ এপ্রিল প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছিল চেন্নাই। ঋুতুরাজ গায়কোয়াড় করেছিলেন ৪৮ বলে ৭৩ রান। আম্বাতি রাইডুর ব্যাট থেকে ৩১ বলে ৪৬ রান এসেছিল। শেষদিকে রবিন্দ্র জাদেজা করেছিলেন ১২ বলে ২২ রান।
সেই রান করেও জিততে পারেনি চেন্নাই। ১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছিল গুজরাট। শুরুটা ভাল না হলেও ডেভিড মিলার ৫১ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। রশিদ খান করেছিলেন ২১ বলে ৪০ রান।
দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ১৫ মে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই ও গুজরাট। সেই ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করেছিল চেন্নাই। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করেছিল তারা। গায়কোয়াড় ৫৩ ও নারায়ণ জগদীশন ৩৯ রান করেছিলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ৬৭ রান করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম