সূত্র জানায়, কোম্পানিটির অনুমোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা, কিন্তু কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে তুলতে চায় ২৩৮ কোটি টাকা। ফলে এটি নিয়ে সন্দেহ হয়েছে বিএসইসির। অনুমোধিত মূলধন বৃদ্ধি করে আবার আবেদন জমা দিতে পারবে কোম্পানিটি। তবে এর জন্য আবারও রোড শোর আয়োজন করতে হবে না।
জানা গেছে, ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজারের আসতে চায় ওমেরা পেট্রোলিয়াম। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ২৩৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করতে চায়। এর মধ্যে ১৮৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কোম্পানিটি ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন এলপিজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজ কিনবে। এছাড়া ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শো’ করে কোম্পানিটি। সেখানে কোম্পানির প্রধন নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক আহমেদ জানান, ‘ বর্তমানে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ৬২.৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেড। এছাড়া কোম্পানির অন্যান্য অংশীদারের মধ্যে আছে বি বি এনার্জি এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং সিংগাপুর ও নেদারল্যান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফ.এম.ও।’
তিনি জানান, দেশের এলপি গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় রেখে ২০১৫ সালে সম্পূর্ন ইউরোপিয়ান প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে ওমেরা পেট্রোলিয়াম এলপিজি খাতে যাত্রা শুরু করে। এলপিজি আমদানি করে ওমেরা পাঁচটি ভিন্ন আকারে যথা ৫.৫, ১২, ২৫, ৩৫ ও ৪৫ কেজি সিলিন্ডারে বোতলজাত করে গৃহস্থালী এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করে থাকে। এছাড়াও শিল্পে ব্যবহারের জন্যে বাল্ক আকারে এলপিজি বিক্রি করে ওমেরা।’
কোম্পানির সিইও আরো জানান, এলপিজি সংরক্ষন এবং ব্যবহারকারীদের নিকট বিতরনের জন্য ওমেরার রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা। ওমেরার রয়েছে ৯,০৫০ মেট্রিক টন এলপিজি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি ট্যাংক। এছাড়াও মোট ১০০০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি এলপিজি বহনকারী বার্জ রয়েছে। যা আভ্যন্তরীন নৌপথে এলপিজি পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি ওমেরার রয়েছে ৩২টি এলপিজি পরিবহনকারী রোড ট্যাংকার যার প্রত্যেকটি ধারণ ক্ষমতা ১৭ মেট্রিক টন। প্রতিদিন এক শিফটে ৬০,০০০ সিলিন্ডার বোতলজাত করার সক্ষমতা রয়েছে ওমেরার।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ।