খবরে বলা হয়েছে, গত ২৯ মার্চ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছে। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। এ সময় ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রস্তাবে বলা হয়, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, ২০২১ সালে যার মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৭ ডলারে, যা এখন তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।
রেজুল্যেশনে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক স্বাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থসামাজিক খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ সফলভাবে মডারেট মুসলিম সমাজব্যবস্থা বজায় রেখেছে, উগ্রবাদ দমন করেছে এবং জনগণ বন্দুকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপন করছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বাঙালি জাতির ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি প্রদান করে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে। এছাড়া বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।